বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ১১:২৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদদাতা –
নিলফামারী জেলার সদর থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) মাহামুদ উন নবী সারাদেশের করোনা পরিস্থিতিতে নিজের পারিবারিক চাহিদা বিসর্জন দিয়ে সৃষ্টি করলেন এক মানবিক উদাহরণ ।
সূত্র জান্য , গত ৪ ঠা মার্চ ছিল পরিদর্শক ( তদন্ত ) নিলফামারী সদরের ছেলে রাইয়ান-আল-আবিদের জন্মদিন । বেশ কিছুদিন আগে থেকেই জন্মদিনটি ঘটা করেই পালনের দাবী ছিল বাবা পুলিশ কর্মকর্তার নিকট আবিদের । বাবারও আপত্তি ছিল না । কিন্তু হঠাত্ গোল বাধিয়েছে আবিদের সেই ইচ্ছায় করোনা নামক প্রাণঘাতী ভাইরাস । সারাদেশ চলে যায় নিয়ন্ত্রিত চলাচলের থাবায় । আবিদের বাবা মাহ্মুদের মাথায় আসে ভিন্ন চিন্তা । তিনি পরিবারের সাথে বসে একটি সিন্ধান্ত নেন । তিনি আবিদের জন্মদিনটি এবার খেটে খাওয়া অভাবী মানুষের সাথে পালন করতে চান । কারণ যে পরিমানে খরচ করে এই জন্মদিন পালিন করবেন তাতে ২০০ শতাধিক নাখাওয়া অনাহারী মানুষকে তিনি খাওয়াতে পারবেন । যেমন কথা তেমনই সিন্ধান্ত । শিশু আবিদের কথা রক্ষা করতে পারলেন বাবা । আবিদের ইচ্ছা বাবার সাথে খাবার বিলি করতে সেও যাবে বায়রে । লকডাউনের কারণে তার বায়রে যাবার ইচ্ছায় ছেদ পরলেও । বাবা কিন্তু কথা রেখেছেন । তিনি খাবার রান্না করে প্যাকেট তৈরী করে অনাহারীদের দ্বারে দ্বারে সেই খাবার পৌছে দিয়েছেন ।
কে এই পুলিশ কর্মকর্তা মাহামুদ , তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উচ্চশিক্ষা নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশে যোগ দেন । তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত অবস্থায় বিশ্ববিদ্যালয় থিয়েটার রাজশাহীর একজন সংগঠক ছিলেন । তিনি পুলিশে চাকুরী কালীণ কর্মক্ষেত্রে দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য সন্মানের সাথে বিভাগীয় নানান পুরুষ্কার পেয়েছেন । তার চাকুরী ক্ষেত্রে খোজ নিয়ে জানা যায় তিনি পুলিশের চৌকশ একজন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত ।
এই বিষয়ে আমাদের প্রতিনিধি কথা বলেন মাহামুদের সাথে , মাহমুদ জানান তিনি পরিবারের সন্মতি নিয়ে ছেলের জন্মদিনের খাবার অভূক্তদের মধ্যে বিলি করেছেন । এই বিষয়ে শিশু আবিদের সাথে কথা বললে সে জানায় ” সব দিছি ,খেয়ে ফেলেছে ” । সে খুশি কিনা জানতে চাইলে আবিদ বলে , খুশি ।
পুলিশের এমন মানবিকতায় সকল মহলের প্রশংসা কুড়িয়েছন নিলফামারী থানার পরিদর্শক ( তদন্ত ) মাহামুদ উন নবী ।